প্রতিটি মানুষের জীবনেই নানা ঘাত প্রতিঘাতে ভরা। সমস্যা, বিপদ, পদে পদে মৃত্যুর হাতছানি। কিন্তু সত্যিকারের সাহসির কাছে ‘জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য’। আর মহৎ জীবনের অভিলাষী জন লড়াই করে মৃত্যুর বিরুদ্ধে অকুতোভয়। এমন কিছু মরণজয়ী জীবন যোদ্ধার কাহিনী মরণজয়ীদের সত্যি গল্প।
ভারত বর্ষ স্বাধীন হবার পর থেকে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সীমান্তরক্ষী ও ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে। স্বাধীন ভারতের সেনাদলকে এ পর্যন্ত বহুবার শত্রুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রতিটি যুদ্ধেই অসাধারণ শৌর্য, রণকৌশল ও আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছেন ভারতের বীর সেনানীরা। সারা দেশ তাদের জন্য গর্বিত। এখানে আমরা পরিবেশন করছি সেই মরণজয়ী বীর সেনাদের রোমাঞ্চকর কিছু যুদ্ধ এবং আত্মত্যাগের কাহিনী।
পুরাণকথার একটা মোহিনীশক্তি আছে। যদি নিপুণ রচয়িতার লেখনী থেকে নির্গত হয় তবে পাঠককে মুগ্ধ করে।প্রাচীন সাহিত্যের প্রতি আমাদের একটা স্বাভাবিক আকর্ষণ আছে।তার ত্রুটি আমরা সহজেই মার্জনা করি।শিশু যেমন রূপকথার অবিশ্বাস্য ব্যাপার মেনে নিয়ে গল্প শোনে, আমরাও সেইরূপ পৌরাণিক অতিশয়োক্তি ও অসংগতি মেনে নিয়ে প্রাচীন সাহিত্য উপভোগ করতে পারি। এর জন্য ধর্মবিশ্বাস বা পূর্বসংস্কার এ্কান্ত আবশ্যক নয় , উদার পাঠক সর্ব দেশের পুরাণই সমদৃষ্টিতে পাঠ করতে পারেন।বাল্মীকির গ্রন্থে রূপকথা ও আরব্য উপন্যাসের তুল্য বিচিত্র অতিপ্রাকৃত বর্ণনা অনেক আছে,কাব্যরসও প্রচুর।এই রামায়ষও সেরকম আধুনিক উপন্যাসের চেয়ে কম নয়।
বৈশালী নবযৌবনা নগর নটির সৌন্দর্য আর নৃত্যগীতের খ্যাতি তখন সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে একটিমাত্র দর্শন অভিলাষে দিগ্বিদিক থেকে ছুটে আসে দেশের সেরা ধনী, শ্রেষ্টী, রাজা, মহারাজারা অনেকেই ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায় কারণ আম্রপালি উপযুক্ত পুরুষ ব্যতীত কাউকে প্রবেশাধিকার দেয় না তার বিলাস কুঞ্জে।
আম্রপালির বৈশালী নগরে এসে উপস্থিত হলো এক বৌদ্ধ ভিক্ষুক।ইতিহাসে আবিষ্কৃত হলো তারা পরস্পরের অত্যাশ্চর্য্যভাবে পরিচিত। ঘটে গেল এক বিশাল পরিবর্তন। কোথায় কিভাবে কখন কার সাথে? জানতে গেলে পড়তে হবে ইতিহাসের বিচিত্র নারী বইটি যা টানটান উত্তেজনাপূর্ণ। এই রকম আরো অনেক গুলি উত্তেজনাপূর্ণ নারী চরিত্র নিয়ে গঠিত এই বইটি।
নারী হৃদয়ের এইসব বিচিত্র কথা হয়তো এতোকাল পাঠকের কাছে পৌঁছাবার অবকাশ পায় নি।যাঁদের কথা আমরা ইতিহাসে সচরাচক খুঁজে পাওয়া যায় না। সেই সব আজানা নারী চরিত্রগুলি এই সংকলনে লেখক শ্রী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিহাসের আলো–ছায়ার মধ্য থেকে নারী–জীবনের সেইসব সত্যি ঘটনার সূত্র খুঁজে বার করার জন্যই দীর্ঘ চারবছর নিরলস প্রচেষ্ঠার দ্বারা বিভিন্ন ইতিহাসের গ্রন্থ, ঐতিহাসিক তথ্য ও গ্রন্থাগারের সাহায্য নিয়েছেন। তারপর সেইসব চরিত্রগুলিকে জীবন্ত করে তোলার জন্য যে সব ঘটনা বর্ণময় করা হয়েছে কল্পনার রঙে । তা সকল পাঠককে মুগ্ধ করে তোলে। এরকমই ৩৮ টি অজানা নারী চরিত্র নিয়ে গঠিত এই বইটি ইতিহাসের বিচিত্র নারী।
ইতিহাসের বিচিত্র নারী
নটীআম্রপালী, কামনাময়ী তিষ্যা, ব্যর্থ আভিসারিকা, নটীমাতা শালবতী, মহারানী বৎসদেবী, আভিসারিকা উপকোশা, উচ্ছলিত-যৌবনা জয়মতী, দয়িতা বাসবদত্তা, কলাবতী কমলা, রাজকন্যা বাজিরা, নন্দ দূহিতা দুর্ধরা, অশোক-জননী শুভদ্রাঙ্গী, রাজনন্দিনী রাজ্যশ্রী, রাষ্ট্রকূট কন্যা রন্না, মেঘমুক্ত চন্দ্রমুখী, চতুরা তলতাদেবী, মন্দমতী মৃণালমতী, মা শিলাময়ী, যশোধরা গোপা, ভ্রষ্টা সুন্দরী, সাধ্বী কন্নগি, উপাসিকা আক্কা-মহাদেবী, কল্প-কামনার কানেডা, ‘পঞ্চকল্যাণী’ বিশাখা, কুন্ডলকেশা ভদ্রা, মহিষী চেল্রনা-কোশলদেবী, মৈত্রীর দূত সংঘমিত্রা, বরজ্যোৎস্না চন্দ্রপ্রভা, কাশ্মীর অধীশ্বরী দিদ্দা, লিচ্ছবিকুমারী কুমারদেবী, দস্যুনেত্রী সোমা, দাসীকন্যা বাসভক্ষত্রিয়া, উপেক্ষিতা কুবেণী, প্রেম অভিলাষী, ভাগ্যহারা পটাচারা, ভদ্রাবতী, সাধিকা পদ্মাবতী, রানী ভবশঙ্করী।